ঢেঁকিছাঁটা চালে রয়েছে অতিপ্রয়োজনীয় কিছু উপাদান যেমন- ভিটামিন বি, আমিষ, চর্বি, খনিজ লবণ, বায়োটিন, ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইবার।
এছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, আয়রন, জিংক। যা বাজারে কলে ভাঙানো চালগুলোতে নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ বাজারে কলে ভাঙানো চাল মসৃণ করতে গিয়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো বাদ পড়ে যায়। ফলে কলে ভাঙানো চালে এসব উপাদানের ঘাতটি হতে পারে। সে কারণে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খাওয়া দরকার।
ঢেঁকি ছাঁটা চালে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
গবেষকরা পরামর্শ দেন যে নিয়মিত গোটা শস্য (Whole Grain) যেমন ঢেঁকি ছাঁটা চালের মতো খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
এমনকি সাদা চালের পরিবর্তে ঢেঁকি ছাঁটা চাল দিলেও রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।
অন্যদিকে, প্রচুর পরিমাণে সাদা ভাত খাওয়ার সাথে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি এর উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক (GI) এর কারণে হতে পারে। জিআই পরিমাপ করে যে একটি খাবার কত দ্রুত আপনার রক্তে শর্করা বাড়ায়। ঢেঁকি ছাঁটা চালের জিআই প্রায় ৫০ এবং সাদা চালের একটি জিআই প্রায় ৮৯, অর্থাৎ সাদা চাল ঢেঁকি ছাঁটা চালের চেয়ে অনেক দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
শর্করা, ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রণ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ।
খাবারে কী পরিমাণ শর্করা আছে এবং তা কত দ্রুত ব্লাড শুগারকে বাড়িয়ে দেয়–একে বলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স।
যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত কম সেটি তত নিরাপদ। লাল আমন চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। সাদা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যেখানে ৭০ সেখানে লাল চালের গ্লা. ইনডেক্স মাত্র ৫৫। ফলে এই চাল নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর।
আমরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্রক্রিয়াজাত করে প্যাকেটজাত করে থাকি।